উঠিল না রবি
কামিনীশাখে, রজনীপরে উঠিল না রবি ।
কাদম্বনী ঝরে নব ঝরঝরে― ভাসে ছবি
তাহারই― মম মন মাঝে,
অপরূপ রূপের সাজে ।
নয়ন অবিরাম রূপে মোহ ধরে এ মনে ।
আজি এ শ্রাবণঝড়ে সতত বাজে প্রাণে―
তাহারই কথা ক্ষণে ক্ষণে ।
কি যেন বলে মম মনে !
সামিয়ানা ঝিলিকে যৌবনস্বপ্ন শুধু জাগে;
আজি প্রণয়সুখে হাসি আমি গানের― রাগে ।
পথচলা আর হল না―
বর্ষার সাজে সাজে নয়না ।
কদম্বফুল, লও হে! শাওন সুরলহরী
অঞ্জলিতে অঞ্চিতা তুমি, যৌবনের নহরী ।
উঠিল না রবি এ ছায়ায়―
অরূপ রূপের মায়ায় ।
আজি গগণভরে শ্যামলিমা মেঘের সাথে
আমি আসি বাহিরে বেরিয়ে― ঘুরে পথে পথে ।
শুধু তাহারই আঁখিমোহে,
কমল আঁখি ছাড়া নহে―
নহে অন্য কিছু ।
নিমীলিত নয়ানে নিয়ত নিমেষে অঙ্কিতা―
হে শ্রাবণতনয়া, তুমি মম অর্ঘ্যে আর্চিতা ।
শুধুই অংশুমালীর তরে―
কিরণে হিরণ্ময় ঝরে ।
আমি কেন পথপাড়ে দাঁড়িয়ে আছি এ বেলা?
কামিনীশাখে যামিনীপরে আমি যে একেলা ।
উঠিল না রবি এ ছায়ায়―
অরূপ রূপের মায়ায় ।
এ নিবেদন মোর আজ রাখিল না সবিতা―
তাই মোর স্মরণ হল আজি শুধু কবিতা ।
উন্মীলিত রূপ মেলে ধরে,
আজি বেরুল না বাহিরে ।
― শুধু স্বপ্নসুখে বিভোর ।
আজি নাহি দেখা হল ইন্দুর সনে আমারই,
আজি বর্ষার হরষ-শিহরণে আহা মরি ।
কদম্বফুল করেছে আর্তি―
যেন হই তাহার সাথী ।
― বর্ষণ শুধু দিনভর ।
২৪৴আষাঢ়৴১৪১১
খিলগাঁও