পূর্ণতোয়া মেঘা
মেঘা নামের মেঘটির সাথে
ওই পাহাড়ের উপরিদেশে
দেওদার গাছের পাতার নীচে
দেখা হয়েছিল এক মেঘলা সকালে।
পাশে পুত্রঞ্জীবগাছও ছিল অনেকগুলি।
মেঘাকে দেখে পুত্রঞ্জীবগাছের
পাতায় লেগেছিল শিহরণ।
আমার বুকেও বোধ করি শিহরণ জেগেছিল।
কখনও আমি ভাবি নি
মানুষের চিন্তার প্রসন্নতা নিয়ে;―
বুকের যে শিহরণে মেঘার ছবি
তাকে কেন পুত্রঞ্জীবের পাতার কাঁপনে দেখি?
ঘন পাতার পুত্রঞ্জীবগাছের
ডাল বেয়ে উঠে আমি
মেঘাকে ছুঁতে চেয়েছি।
অস্পৃশ্য অনুভূতি যেমন
স্পর্শ পেতে পেতে
হৃদয়ের সব পাওনা উজাড় করে দেয়;―
চনমনে মনে যেখানে
সুস্থির শান্ত নীরবতা
ভালোবাসার মেয়েটির চরণে
পদানত হয়
দীর্ণ কাচের টুকরোর মতো;―
মেঘা নামের পাহাড়ী মেঘটিকে
আমি তেমনি ছুঁয়েছি।
প্রবল ভালোলাগার মুহূর্তটি অল্প সময়ের ;
তবুও আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতা দিয়ে
মন তাকে পূর্ণ করতে চায়
প্রতিবার।
এ হাত ছোঁয়া পেয়েছে
পূর্ণতোয়া মেঘার শরীরের,
যে শরীরে শুধু আবেদন
আছে একটি বর্ষার।
১২ শ্রাবণ ১৪১৩