পিয়ার পিয়াস

আর নহে― নিখিলের মাঝে শূন্য হৃদয়ের গভীরতা ।
আর নহে― মায়াবী চোখে হৃদয়ের যত না বলা কথা ।
এবার অধর ফুটুক পাপড়ি মেলে―
শিরিন ঠোঁটে সতত লাল চুমু খেলে ।
উদাসী পবনে খোলা বাতায়নপাশে―
এই শরতে আজি ঝড় উঠুক কাশে ।
সুনীর আকাশে শুভ্র মেঘের সাথে চলো না উড়ে যাই ।
আজি সন্ধ্যার বাতাসে চলো না দু জনে কোথাও হারাই―
যেথায় পদতলে ঘাসফুল ছুঁয়েছে―
যেথায় প্রজাপতি নানারঙে উড়েছে―
যেথায় নীল আকাশে শবুজ মিশেছে―
যেথায় নইতীরে দৃষ্টি গিয়ে থেমেছে―
কিঙ্কিণী পায়ে, কিংশুকতলে লাল ফুলে নৃত্যের শোভাতে
অনুপ অনুরাগে অনুপমা মোর হৃদয়ের আলোতে ।
এবার লাল ঠোঁটে বল না প্রেমকথা;
কি হবে লজ্জার লালে লুকিয়ে এ ব্যথা ।
অনুপমা তোমায় যে দিয়েছি এ মন―
হারিয়েছি দিশা দেখে চন্দনবদন ্
প্রেমের কথা আর কি বলিব? মোর হৃদয় যে ছুঁয়েছ ।
আজি উদারিত হোক, বলো না তুমি মোরে ভালবেসেছ ।
তোমার আঁখকাজলে এঁকেছ যে ছবি,
তোমার বসনে আঁজির টানেতে ভাবি―
কোথায় পেলে এই অভিরূপা অভিরতি ।
তটিনীতটে তোমার আমার সুরতি ।
তোমার হাতেতে চুমুর পরশে হারাব আমব নৃত্যের
তালে― যখন তোমার রুনুঝুনু বাজিবে ঐ নূপুরের ।
অরুণা, তোমার ঐ অরবিন্দ-শোভাতে,
মোর মনেতে ফুটিত মল্লিকাফুলেতে,
আমার সাথে তোমার তুমি, প্রিয়তমা,
তোমায় যে লেগেছে ভালো, এ নিরূপমা ।
তোমার আমার কথায দিনের দিনেশ রাতুল আভা
স্রোতস্বনী তটে ছড়িয়ে আনবে মধুর চাঁদের প্রভা ্
নিশিগন্ধ্যাফুলে হবে ফুলের বিছানা,
তোমায় আমি বলব, এ ভালবাসো না ।
হেথায় পিয়ার পিয়াস মিটবে শেষে;
তোমায় পেলে অভিনন্দন পরমেশে ।

১২৴আশ্বিন৴১৪১১
গুলবাগ

৪০৷ অসঙ্কলিত