গ্রামীণ মেয়ে
যখন সামনে এসে দাঁড়াল
শিলাবৃষ্টি গায়ে
সারারাত ঘুমুতে পারি নি
যন্ত্রণার দায়ে।
মেন্দিছোপানো সম্বন্ধ হাতে
প্রায় ঠিক আছে;
অঞ্জনের সাথে ছাড়াছাড়ি,
তার পর সেজেছে
বাঁকানো ভুরু, মোটা মাশকারা।
কানের কাছে ঠোঁট এসেছে
আরেকটু তল্লাটে;
হাওয়াতে শব্দ―তোমাকে ছাড়া
ভাল্লাগে না মোটে।
হঠাৎ ঠোঁটে কাঁপুনি জাগে
ঠান্ডা জলোহাওয়া;
হঠাৎ করে কুমারী মেয়ে
কামদেবীরই দুয়া।
নইলে কি পেতে এত আশকারা?
সেই যে হাতে হাতকড়া দিলে,
ঠোঁটে ঠোঁট এলে,
সমস্ত চুল এলিয়ে দিলে
সামনে একটু হেলে;
অনেক বনগাঁ পেরিয়ে পৌঁছি
শূন্য দোতলাবাড়ি।
সজনে ফুলের মৌন মৌতাতে
একটু হাসি ছাড়ি
দেবতা নিয়ে করে মসকরা।
বললাম তাকে, “শিলাবৃষ্টির
কথা মনে আছে?
বছরে কিন্তু একবারই আসে
আমাদের কাছে।”
“বলছ কি-সব? এমন বৃষ্টি
আর জীবনে পাব?
সামনে দাঁড়িয়ে তোমাকে একটু
এসছ বলে ছোঁব।
তার পর যত যা প্রশ্ন করা।”
৯ মাঘ ১৪১৩ আরামবাগ