বিপাশার পাশে
মোহনায় মিশে গিয়ে বহতা নদী হারাল বিশালের মাঝে;
ফ়িরোজা আকাশ দূরে দাড়িম্বের দ্বীপ ফেলে না বুঝি কী বুঝে
অন্য পৃথিবীর খোঁজে গিয়েছে চলে জোনাকি-ডানায় মেঘ ভাসিয়ে।
সেদিন ঝিলের পানি দূর নীলিমার ছায়া এঁকেছিল বুক ছুঁয়ে।
অনেক দেখেছি তাকে―গত কালের সে মেয়ে―বিপাশার মুখ;
বাতাসে দীঘল চুলে ভুলে চুলবুল করে―আঁধারের সুখ।
লাল পাপড়ির ঠোঁটে লিখে এল ভালোবাসা কোন বুলবুলি ?
নীরব মুখের কথা চোখের চাহনি বলে রুপার দীপালি।
চোখের ভ্রুলতা যেন প্রশান্ত সাগরে ঢেউ,
বুঝেছি কেড়েছে মন চুপিচুপি পৃথিবীর কেউ।
বিপাশার পাশে বসে আলাপ করেছি কত―জলহীন ব্যথা;
ভুলায়ে দিয়ে অতীত, বর্তমান ভেবে গেল কালকের কথা।
ঝিকিমিকি আলো তাই, ধুপসাগরের তারা নামিছে দুপুরে,
অনুরাধা ভুল করে জড়ায়ে নিল নিজেকে মনের নূপুরে।
বিকেলের বিপাশা সে; পাশাপাশি বসে মোরা। পৃথিবী আঙুল
তুলেছে রঙধনু রঙে, ফেননিভ মুখে তার লাজের হিঙুল।
টলমল রূপে তুমি; বিপাশা বিদিশা হয়ে সাগরের শোভা,
পিয়ালায় মদিরা সে, পৃথিবীর পথে আসা―তুমি মনোলোভা।
২ বৈশাখ ১৪১২
গুলবাগ