চলি আমি পিছু তাকিয়ে

  • ক্যাটাগরী: কবিতা

কেমনি প্রথম জীবন কেটেছিল মাটির গন্ধে?

সকালে-সন্ধ্যায় আমার আঁজল ভরে ছিল খুশি।

মিশেছি নীল আস়মানে মিশুক সমাজের দ্বন্দ্বে,

পেরিয়ে গিয়েছি সকাল―শৈশব বড়ো ভালোবাসি।

শতাব্দী কভু দাঁড়ায় নি বিস্মৃত কালের মায়ায়,

তবু আমার ইচ্ছে করে একপায়ে দাঁড়িয়ে দেখি―

হারানো শৈশব কেমন?

পৃথিবীর পথের ঘাটে কেন জানি শুধু ভাবায়?

ইচ্ছে মোর বহু দিনের―হই তার চোখাচোখি।

তুহিন শীতের কাঁপুনি, বাইজির ঘরে নাচন,

মদের খোঁয়ারী ভাঙে নি; উথাল নেশার শৈশব।

উতলা মন ভেবেছে যা খুশির রেশে করেছে তা।

ছোটোবেলার সকালটি কেটেছে অনন্য রকম।

ঘুম ভেঙেছে আমার যে পাখি-ডাকা-গান ভৈরব।

করুণ পৃথিবী যেমন ডেকে এনেছে মোর বার্তা।

ক্লান্ত সময় অতীতের ছুটে চলা সেই নিগম॥

জাফ়রান কেশর যেন বুলিয়ে গিয়েছে ইশারা,

নরম মনে কবেকার কৃপার আলোকনে তুমি―

কুরুবক ছিঁড়ে এনেছি প্রথম শৈশবের তারা।

ফের দেখেছিনু গগনে; সে বিস্মৃত স্মৃতির আমি।

―কিরকিরে জীবন যেন কালিক কালের উপমা।

ধূসর পৃথিবীটা ছেড়ে চলে যাই না সে শৈশবে;

চাঁদিনী রাতের কাহিনী চাগাড় দিয়েছে আজিকে।

শঙ্খের যত আর্তনাদ; অনুষঙ্গ যত অনামা।

চটুল ছন্দে মনে মনে কবিতা-কথা তো চলবে।

রঙিমা স্বপ্নের শৈশব জুড়ে থাকে কোন কুহকে?

ওগো ঈশ্বর, দুটো কথা আজি শুনো না তুমি কেন?

কোমল কড়ির সে বুকে নিয়ে যাও তুমি ফিরিয়ে।

বিভোর দুষ্টু সে পৃথিবী; শৈশবঘেরা ধুপ যেন;

ধূলিময় পৃথিবী ছেড়ে চলি আমি পিছু তাকিয়ে।

১৮ আষাঢ় ১৪১২

ফেনী