পাপড়ির মতো ঠোঁটে

  • ক্যাটাগরী: কবিতা

বৃষ্টিভেজা সে পৃথিবী; আমি হেঁটে চলি পথে।

শীতল বায়ু বইছে; মৃদু মধুর পরশে।

ধূসর মেঘ ভাসছে আকাশে আশার রথে।

পিচঢালা এ পথের হেঁটেছি আমি এ পাশে।

সমস্ত পৃথিবী আজ মায়ায় ভরা শৈশব;

দুটো চোখ স্বপ্নে ভরা; স্বপ্ন তবুও আমার।

বিশাল পৃথিবী মাঝে এতটুকু যে সৌরভ―

ভালোলাগে এ পৃথিবী; সব মুগ্ধ করে তার॥

তাই বুঝি পৃথিবীতে এ হেঁটে চলা এখন।

এসব রাস্তা যখন মিলেছে ভাবনার সাথে―

আমি হারাই কোথায়? কোথায় মিশে বেদন?

অসীম আকাশ তবু দেখে চলে সে শপথে।

সেদিন বিকেলবেলা বৃষ্টি পড়ে পড়ে যায়।

পাড়ার পথে নেমেছি যেন সবটা না বুঝে।

উদীচীপানে চেয়েছি―আস়মান মেঘময়।

গাছের তলায় দাঁড়িয়ে কি যেন মনের মাঝে―

মনের আভাসে দেখা সমুখের পথধারে।

রাসপূর্ণিমায় দেখা রবাব হাতেতে রমা।

কে জানত দেখা হবে তার সাথে পথপারে?

কেবল চেয়ে দেখেছি―তুমি আমার উপমা।

মনের ফুটন্ত কলি সবচেয়ে সে সুন্দর;

―এ কথাটি বলি তারে দেখি ডুবুডুবু চোখে।

হাসির ঝিলিকে তুমি অনেকখানি আমার।

লাল ঠোঁটেতে তোমার কোমল পাপড়ি দেখে

স্পর্শ করেছি যখন, অনেক ভালোবাসি যে―

নরম শরীর শুধু আমার বাহুতে বাঁধা।

এতটা সুন্দরী তুমি―কামনার সাহারা যে।

মরীচিকা তুমি, তুমি: আমার স্বপ্নের আধা।

যখন দেখেছে কেউ হয়েছে সে দিশাহারা।

গাছতলে তাকে দেখে এসব মনে হয়েছে―

এলোমেলো বায়ু যেন সে পিপাসার সাহারা।

হরিণী দুটো লোচনে আমাকে শুধু চেয়েছে।

তবুও মনে হয়েছে ঠোঁট দুটো যে পাপড়ি।

ঝিলমিল রোদে কথা ভুলায়ে দিয়েছে শাড়ি।

এত কোমল পাপড়ি―এতটা কোমল ঠোঁট―

আমার ভেতরে কেন এ নম্রতার আভাস।

লালিমা ঠোঁটের কথা চলোর্মির বুকে বোট―

ভালোবাসি এ কথাটি আমার প্রতিনিশ্বাস।

চারিটি চোখের কথা মুহূর্তের যে আবেগ

একটু হারানো পলে অনেকখানিক চাওয়া।

তার পরে সব মিলে তুমি রাতের সোহাগ।

বৃষ্টিভেজা পথে তুমি আঁধারে যে নাই-পাওয়া।

পাপড়ির ঠোঁটে বলা―প্রতিটি ক্ষণের স্বপ্ন;

মুখশ্রীর কারুকাজে দুটো নয়নের রত্ন।

অনেক লেগেছে ভালো; বেহালায় সুর সাজে―

একাকী যন্ত্রণা ভুলে মোহিনী মায়ার ঠোঁটে,

কুসুমপেলব মুখে কুহকিনী ঠোঁট ফুটে।

শুভাননা, হারিয়েছি তোমারই ঠোঁটের মাঝে।

ফুলের পাপড়ি যেন নরম দুটো অধরে,

ঝিরঝির বায়ু বহে শাড়ির পাড়ে আদরে।

২৫ বৈশাখ ১৪১২

গুলবাগ