মোহিনী সে
মোহিনী সে! মাধুরী তার করল মোরে হারা;
কনকহিরণ্যে হিরণ্ময়―সে তো পদ্মপারা।
আজি এই প্রভাতবেলা
খঞ্জনগঞ্জন আঁখি দুটো তার মনে পড়ে,
বর্ষার বরিষণে, আষাঢ়ী সমীরণ-ঝড়ে।
কেনো তব এ-অবহেলা?
কদম্বশাখে ফুটে ফুল―গাহে বিরহী গান―
আফসানে মম হিয়া―অনুভবি তব টান
অমারজনীতে পহেলা।
নয়নানন্দ ধনি দেখি না আমি এ-ভুবনে
আর; সতত সরোদ বাজে এ-মম-স্বপনে।
নব মায়ায় বিমোহিত আজি, তব নয়নে
নয়ন রেখে চন্দ্রাননা, খুঁজে ফিরি মননে।
ঐ-মায়ার মোহ আজি জাগিল এ-মনোভূমে;
বারে বারে আমি তাহারে খুঁজি―আমারি নমে।
আনমনা এই মনটা―
চন্দ্রাকান্তা রজনীতে যেনো পরশ বোলায়
স্মৃতির মণিকোঠায় নির্ঝরিণী তটে কয়―
ভালোবাসি শুধু মনটা।
নিকুঞ্জকাননে নিমেষ তরে আরতিরাগে―
কি-যেনো ইচ্ছে করে আজি গাহিতে সব আগে!
জাগিল প্রণয়হৃদিটা।
লোচনমায়ায় স্বপন জাগে শুধু আমারি।
এক পলক চাহনি অভিলাষে আহা মরি।
নিসর্গ শর্বরীর জড় চেতনা আজি স্মরি।
ভালোবাসি শুধু তাহারে আমারি মন ভরি।
৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪১১
গুলবাগ