পায়ে আলতা

মোর অনন্যা

  • ক্যাটাগরী: কবিতা

অলক চাহনি,
পলক কাহানী,
ঝলক রমণী,
চমক তটিনী।
দীঘল কুন্তল,
রেশম পরশ,
পবন স্পন্দন,
দোলন দোলন।
ঝঙ্কৃত ঝর্না,
হরিণলোচন,
নূপুরনিক্বণ।
আশার দহন,
নয়নবন্যা।
হৃদয়হারিণী,
মায়ার হরিণী―
শুধুই স্বপন
তাহার সরল
ঠোঁটেতে চপল
হাসির অতল
তলের কল্লোল।
উপচে পতিত,
হৃদয়ে কথিত,
সতত প্রণয়।
অধর-আভায়
তাহার কম্পন
থামিয়া আবার
বুঝে না-পাবার
অখল স্পন্দন।
কী কথা তাহার
ঠোঁটেতে বলার?
সেথায় আবির
পেয়েছে তো ঠাঁই।
তাহারে বর্ণন
করিতে কল্পন
আমার তো নাই।
হারিয়ে যাওয়া
শ্যামল কুন্তলে
শ্রাবণমেঘের
মায়াবী জালে
মোর অনন্যা।
শরৎ মালঞ্চে,
শিউলি ফুলেতে,
খোঁপার বেলিতে,
সুনীল আকাশে,
প্রেমের পিয়াসে
ভেসে চলা স্বপ্ন।
ফুটন্ত প্রেমের
পূশীদা পুষ্কর।
গভীর অন্তর।
তবুও ফুটিল
হৃদয় মোহিল।
আনত আনন
গভীর নয়ন
আঁচলে বাঁধন
লজ্জার শয়ন।
কি যেন আভায়
আমারে ভাবায়
দুটো নয়ন?
শরৎ চাঁদের
প্রথম প্রহর
তোমার আমার
হৃদয় বাঁধন।
প্রেমের চুম্বন
তোমারি অধরে
হৃদয়গভীরে
মোর শিহরণ।
নিমীল নয়ন।
গোলাপপাপড়ি
অধর তোমারি।
রূপের মহিমা,
চাঁদের পূর্ণিমা,
মোর অনুপমা।
কী শুধাই তারে?
মন মোর হরে
অনুপমা গালে।
মোর অনন্যা
আশার বর্না।

১১ ভাদ্র ১৪১১
গুলবাগ