মাটিয়া স্মৃতির মাজুষ
কোনো এক মেয়ে
তার মায়ের শাড়ি শুকোতে দিয়ে
বারান্দায় বারবার আসত
তার পিঠ পালটে দিতে
আমি দেখেছি
সকালবেলাকার আয়ত চোখ
সকালবেলাকার প্রথম ঠোঁট
সকালবেলাকার শীতশিহরণ
চোখ যার কথা বলে বিনম্র লজ্জায়
সন্ধ্যাবেলাকার বারান্দায়
দুফোঁটা প্রত্যাশিত
জলের মতো
নিস্পন্দ চেয়ে থাকে দুচোখ
ঠোঁটে ঠোঁটে যার
আদর লেগে থাকে
অসহ্য কামনায়
তাকে বলেছি―
মাঝে মাঝে তোমাকে ভীষণ ভালোবাসতে ইচ্ছে করে
মাঝে মাঝে তোমাকে ভীষণ আদর দিতে ইচ্ছে করে
মাঝে মাঝে একটানা চুমু খেতে ইচ্ছে করে
সে মেয়ের পিঠ ছুঁয়ে গেছে একদিন
কামনার কালনাগে
মুখে যত কথা হলে সে অবশ
হলদে জামাটির সাথে তার লজ্জারাঙা ওড়নায়
দিনে দিনে চোখে চোখে যার সাথে
পরিচয়
মুখোমুখি দুটো বাসায়
ভাববিনিময়ে
দুটো বাসার ছেলে আর মেয়ে
যেন এক হয়ে…
পৃথিবীর যে রাতে প্রাণীরা করে বসবাস
প্রাণধর্মের সাথে
যেখানে মিশে যায় রাতের বিমূর্ত প্রেতাত্মা
চারটি হাত মিলে খেলা করে
দেনা-পাওনার আক্রোশে
এদেরও যৌবনে দেখা দিয়েছে তার
ছিটেফোঁটা আবেশ
বিছানায় পড়ে থাকে এলোমেলো চাদর
বারান্দায় মেলে দেওয়া শাড়িটি
বিকেলের বাতাসে যায় মিশে
আর, মেয়েটি শুয়ে থাকে
যখন কোলাহল শহরের পথে
যায় ছড়ায়ে
সে মেয়ে বিকেলের ঘুমে
হয়তো চলে যায়
প্রশান্তির ঢেউতোলা নদীতে
মনের সমস্ত কল্পনার কম্পনে
উপযুক্ত হৃদয়
পেয়ে যায় তার উপযুক্ত বর
কালচে চোখের মণি দুলে উঠে
একটানা তার কথা ভেবে
এক সপ্তাহের পরিচয়ে
সে দেখা দেয় স্বপ্নে
স্বপ্ন বলে―
তোমার তাকে পছন্দ?
ঘুম ভেঙে যায়
তন্দ্রাতুরা চুল জেগে যেয়ে
এলিয়ে পড়ে বুকে
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪১৩
শান্তিবাগ