বর্ণা
স্বপনের নীল রঙে তুমিই নীলিমা,
জগৎ-মাঝে পাই নি তোমার উপমা।
মোর হৃৎপদ্মে তুমি অক্ষয় মহিমা,
প্রথম সাক্ষাৎ হতে প্রণয়প্রতিমা॥
নিবিড় চুলের তুমি, জানি তুমি বর্ণা।
সোনালি আভার তুমি, জানি তুমি স্বর্ণা।
ছলোছলো আঁখির ঝরোঝরো ঝর্না।
চন্দ্রাননা, আমার তুমি অনন্যা॥
ভুলিতে পারি না আমি স্বপনকায়ায়,
ফুটন্ত অধরের নির্লোভ মায়ায়,
মুখ লুকানো তোমার―এ-প্রেমছায়ায়।
কি-জানি কী পেলাম এই ভালোবাসায়?
তোমার মধুর সুরভিতে আমি অন্ধ।
জগতের সব ছন্দ আজ বন্ধ
মনে হল মোর―লিখিতে বসি এ-পদ্য
সব উপমা ফিরে গেল মোর অদ্য॥
তোমারে করিতে বর্ণন আমি অপারগ॥
তুমি ইন্দুনিভাননা, তুমি মোহিনী;
তুমি এই হৃদয়ের ঝড়তরঙ্গিণী;
তুমি আশার স্বপনের লালিত যামিনী।
আমার দেখা তুমি সুন্দরতর কামিনী॥
সুন্দরতর তুমি, সুন্দরতম হও তুমি।
অপরূপা, তব সাজে বিমোহিত মম মনোভূমি।
বারে বারে হৃদয়পাশে পরশ তরে আস তুমি―
আবেশ তরে নীল বসন পরে, তারে প্রেমি।
প্রাণকান্তা তুমি, অঞ্জলিপুটে করি মিনতি―
যেনো তুমি আমারি হও নিয়ে সজীব সুরতি।
আজি আমারি মনে জাগে নব সন্ধ্যা-আরতি;
আর নাহি মন সয়, আর নয় বিরতি।
অবিরত অমিয়া রূপে কুমুদীহারা হয়―
যেনো মর্ত্যের অপ্সরা ছাড়া অন্য কিছু সে নয়।
মহুয়ার বনে সবকিছু পরে যেনো কয়―
হৃদয়-মন দিলাম তোমারে ভালোবাসায়।
১৩ই বৈশাখ ১৪১১
গুলবাগ