তন্দ্রাভিভূত বিমর্ষ মৌতাত
হারিয়ে যাচ্ছ বহু দূরে তুমি
জীবন মিলিয়ে
ঈষৎ খেয়ালে
বহুকাল আগে আমি তাকে দেখে
পিছু হেঁটে গেছি ভ্রান্তির চোখে
কোনও সুপুরুষ খুঁজে পেয়েছে সে
এতদিনে হয় একটানা বসে
আঁধারের কাছে খুঁজেছি আঁধার
গোপন আঁধার
কেন জানি আঁধারেরে খুঁজি আরও
কীটের মতোন আলোকধাঁধায়
পৃথিবীস্বপ্নে আলোকপিপাসু আমি
হয়তো ছিলাম কখনও কখনও তবু
অন্ধকারের কাছ থেকে পাওয়া
আমার মাতাল-প্রমোদ-মদির নয়নার কথা
যাকে চিরকাল বুকে পুষে রাখি শেষ আশ্রয়
শেষ ভেবে
মানুষের যতটুকু পরিচয়ে তার অনুভব
মানুষকে হেলা কখনও করে না
আমি তার কাছে তাও কি পেয়েছি?
পথ হতে কুড়ে নেওয়া বিস্মৃতি, বহুপ্রাচীনতা, বাগ্বিস্ময় সব
সবই তোমার কারণে কারণে?
আমাকে অবাক করে মাঝে মাঝে
আমার মধ্যে আমি কতখানি বেভুল-আকুল
শৈশব হতে এই যৌবনে খুঁজে খুঁজে
দীর্ঘতর সে ছায়া ভেঙে ভেঙে অস্পষ্ট হবে
হয় এক্খুনি
ঢেউয়ের সুরে মিশে মিলে যাবে নির্ভুল তার স্মৃতিখানি
অন্তত যাকে এ জীবনভর বাঁচিয়ে রেখেছি
কখনও পাব না ভেবে
শীতার্ত পথ কুয়াশায় ঘেরা শীতার্ত স্মৃতি
একা একা মাঠ
যে নিঃসঙ্গ নদী স্রোত নিয়ে বসে আছে এত কাল
এত করে তারে মনের গভীরতর সুর হতে
খুঁজে আনি
সে নৈঃশব্দ্যে নিরালায় ঘন/গাঢ় গহ্বরে
শরতের সরে যাওয়া আকাশ সে নয়
অথবা বৃষ্টি-মেঘমল্লার-তন্দ্রাভিভূত বিমর্ষ মৌতাত
সীমা-অসীমের ধাবমান বৈপরীত্যে শুধু
উচ্ছৃঙ্খল এক যুবকের আমৃত্যু আফ়স়োস়
মুখভঙ্গির গূঢ়ার্থ বলো দারুদার ঠোঁট
কোন সে মুখে আমার বাবার কেনা এই প্রাণ
ঋতুর বাতাসে আমৃত্যু দিয়ে চলে গেল সর্বস্ব?
ভালো তো বেসেছি দিতে বা চেয়েছি
অব্যক্ত সে বসন্তপাপী মন
নিলে না না নিয়ে আমার মনকে করলে আহত
তোমাকে যে পাবে আমার মতোন এত ভালবেসে
এমন ঘটনা পৃথিবীতে কোনোদিন ঘটবে না
মন হতে এত করে চাওয়া আর কারও কাছ থেকে কখনও পাবে না
হয়তো ভোগের সামগ্রী হবে
ভালোবেসে যাবে নরে
এই আমি আজীবন রব মুগ্ধ অতীতবিমর্ষতায়
তুমি বেঁচে থাক অহঙ্কারের অভিশাপে
আমার থাকছে সুখঘেরা স্মৃতি
৩ অঘ্রহায়ণ ১৪১৪
রমনা