আকুল কেশ
দীঘল চুলের শান্ত নদী,
মন ধেয়ে যায় পাল তুলে।
আশার আশা মায়ার ভুলে
হারায় মন দোলার দোলে।
উতল উষায় কোন বনে
চিত্র ভাসে তার এই মনে?
কাহার সুরভিত কাননে
হৃদয় হরিছে ঐ নয়ানে?
কাহার ঐ বিনোদিয়া চুড়ি
কনকনিয়ে সুরলহরী
বাজে? তাহার প্রেমী চুনুরী
তাহার সাথে রূপমাধুরী
ফুল্ল হয়ে ওঠা চন্দ্রাননা।
এত সুন্দর কেন নয়না?
চোখ ফিরিয়ে যায় না থাকা
মনের ভেতর মন রাখা।
সব কিছু তো মায়াকাজরে,
বলতে কী যে ইচ্ছে তোমারে!
ঠোঁটেতে এসেও না-বলা―
এ নির্বাক সুরের বেহালা।
চুলেতে খুশবু ছড়ায়ে কে
মন বেঁধেছে বঁইচিকণ্টকে?
শেফালিকা ফুলে গেঁথে মালা
শরৎ-শেষে পরবে বালা।
মনের মাঝে জ্বেলে দিয়ড়ি
আসবে হেথা রূপঝিয়ারী
সঙ্গে নিয়ে গুচ্ছচাঁপা হাতে
মনের মাঝে উতল স্রোতে।
মন হারাবে সুরভি কেশে।
আশ্বিনের ঐ নীল আকাশে
নদীর তীরে পবনকাশে
মন গিয়েছে মোর ঐ বেশে।
বাজবে ফের নূপুরধ্বনি,
তোমার চুড়ির কনকনি,
সমীরণে উড়বে ওড়না,
আকুল কেশে মোর বন্দনা।
ভ্রুযুগল মাঝে লাল টিপ
ভালে ফুটিত এক গোলাপ।
শরৎ-শেফালীর সুবাসে,
শরচ্চাঁদের জ্যোৎস্নাকাশে
থাকবে মোর স্মৃতির পাশে।
শরচ্চাঁদ মধুর হাসে
মনজুড়ানো মৃদু বাতাসে।
২৭ আশ্বিন ১৪১১
গুলবাগ