বৃষ্টিতে ভিজছে মেয়েটি

আঁখিজলে কাব্য

  • ক্যাটাগরী: কবিতা

আমারো স্মৃতিতে আজও বাজে তারি কাহিনী;
আমারি কণ্ঠলীলার আকুতিতে আজি আসে কথার বাহিনী।
সে যে চলে গেছে বহু দূরে―
মনমাঝে বিরহী সুরে
আজও খুঁজে ফিরি তারি কত স্মৃতি।
নব শিহরণে যত ব্যথা আমারি―ব্যাকুল,
আঁখির লাশে জীবনের যত যাতনা মোর হয়েছে আকুল।
হৃদয়ে মোর নিনাদ বাজে―
শুধু রূপসজ্জার সাজে―
আজি যেন গাওয়া হয় যতেক গীতি।
আষাঢ়-বর্ষার বরিষণে জাগে শিহরণ;
সেই শিহরণে কণ্ঠ মোর ব্যাকুলি খুঁজে প্রেয়সী সমীরণ।
হৃদয়ে মায়া দিয়ে গেল সে―
পাপিয়ার গানে হরষে―
বয়নবর্ণে সুন্দরী মুখের প্রীতি।
অনুবার অনুরাগে অবনত মুখখানি;
এত সাধনা করে তবুও সে মুখ আমি যে ভুলতে পারি নি।
অবয় এঁকেছি সে মুখের;
এত কবিতার আঁখর
উৎসর্গ করি কাব্যের জীবনাবৃত্তি।
আমি লিখিতে পারি না আর আঁখিজলে কাব্য;
কলম উঠিয়ে বসে থাকি―ময়ূরকণ্ঠী রঙে হোক আরম্ভ।
চোখে শুধু বিরহী অর্ণব;
মন্দিরে বাজিছে প্রণব।
কী হবে দীঘল চুলের কবিতায়?
সাদা সুহালি ডাকিছে বনে অজানা সে গানে।
পাতায় পাতায় খুঁজি তাকে―ভাটিয়াল পানসি ভাসে উজানে।
এত ছবি এঁকেছি আমি যে―
সুহাস হাসিতে সহজে।
মেলা দুটো চোখ যে তোমার ব্যথায়।
আষাঢ়ের ভরপুর বারি চোখে ভরপুর।
কান্তিমতী প্রিয়া যে আমার কাব্যের অঞ্জলি হয়েছে আবার।
তখন তুমি বাদলে ভিজে―
তখন মরীচিকা সেজে―
দূর আলেয়াপ্রান্তে হারালে কোথায়?
জবা ফুলের কোমল দলে উর্বশী সরসী;
টকটকে লাল যেন ঠোঁট―দীপ্তি ভাসে, রোদেলা আলোর হাসি।
তোমাকে ছাড়া যেন রভসে―
হাপুস চোখের রহসে―
তোমাকে না-পাবার ব্যথা-বেদনায়―
আরেকটি কবিতা আমি যে লিখব শোকের;
যেখানে দুখের সাগরের জলে-মদে ভুলব আমি তোমার
আনার দানার মত ঠোঁট;
―ভুলাতে যে মনের চোট।
পরীপুর ছেড়ে আসা পরী তোমায়―
পত্র লিখব আমি শোকে, কবিতায়।

২০ আষাঢ় ১৪১১
খিলগাঁও