প্রকাশিত বইসমূহ
صلح و هماهنگی
بنگلادش کشور پرندگان و رودخانهها است. در این کشور مردم اشتیاق عمیقی به زبان، ادبیات، فرهنگ و میراث خودشان دارند. اینجا شعر مانند جریانی خود جوش روان میشود و رویاها و خاطرات احساسات و افکار افراد را منعکس میکند. اشعاری که در این کتاب دربارهی رهبر بزرگشان شیخ حسینه گردآوری شده است، افکار و احساسات شاعران مختلف را به تصویر میکشد واین اشعار شاید افسردگی و اندوه، خوشبختی و موفقیت، شناخت او وهمچنین وطن پرستی وانسان دوستی او را آشکار میکند. در این اشعار بازتابی از تاریخ وفرهنگ این ملت نیز هویدا است .
Frieden und Harmonie
Bangladesch ist ein Land der Vögel und der Flüsse. Die Menschen dieses Landes haben eine tiefe Leidenschaft für Sprache und Literatur, Kultur und ihr nationales Erbe. Die Dichtung fließt wie ein spontaner Strom, der die Träume und Erinnerungen, Gefühle und individuellen Gedanken widerspiegelt. Die Gedichte, die in diesem Buch zusammengestellt wurden, beeinhalten die Gedanken und Gefühle verschiedener Dichter über ihre große Führerin Scheich Hasina. Diese Gedichte enthüllen Freude und Mutlosigkeit, Leiden und Glück, Vision und Mission, Worte und Arbeit, Träume und Handlungen, Vorstellung und Neuerung, Erfolg und Anerkennung, sowie Patriotismus und Menschenliebe. In diesen Texten erkennt man auch die Reflexion der Geschichte und Kultur dieser Nation.
शांति और सामंजस्य
बांग्लादेश पक्षियों और नदियों का देश है। इस भूमि में लोगों को अपनी भाषा और साहित्य, संस्कृति और विरासत के लिए गहरा जुनून मिला है। यहाँ कविता एक सहज धारा की तरह बहती है जो स्वप्न और स्मृतियों और व्यक्तियों की भावनाओं और विचारों को दर्शाती है। इस किताब के माध्यम से प्रस्तुत कविताओं में उनके महान नेता शेख हसीना के बारे में विभिन्न कवियों के विचार और भावनाएं हैं। ये कविताएँ उसके आनंद और अस्वीकृति, दुख और खुशी, दृष्टि और मिशन, शब्द और काम, सपने और कार्रवाई, कल्पना और नवीनता, सफलता और मान्यता के साथ साथ उसकी देशभक्ति और परोपकार का खुलासा करती हैं। वास्तव में यह छोटी एंथोलॉजी बांग्लादेश सरकार के प्रिय और सबसे लंबे समय तक प्रधानमंत्री शेख हसीना की काव्यजीवनी को दर्शाती है। इस ग्रंथ में किसी को बांग्लादेश के इतिहास और संस्कृति का प्रतिबिंब भी मिलेगा।
السلام والوئام
بنجلاديش هي دولة الطيور والأنهار. في هذه الدولة اكتسب الناس شغفاّ عميقاّ بلغتهم وأدبهم وثقافتهم وتراثهم. الشعر يتدفق مثل التيار ليعكس الأحلام والذكريات، والعواطف والأفكار. ترسم القصائد المنشورة في هذا الكتاب تصورات أفكار ومشاعر الشعراء المختلفة عن زعيمتهم العظيمة شيخ حسينة. وتبيحح هذه القصائد بهجتها وتبث حزنها، وتحاول أن تبعث السعادة في نفوس قرائها، إلى جانب تقديم رؤيتها الإبداعية والفكرية التي تعبر عن مشاعر الوطنية والإنتماء، ففي هذه القصائد يجد المرء انعكاساّ لتاريخ وثقافة هذه الأمة.
হংসমিথুন ভেসেছে বেহেশ্তী জলে
হংসমিথুন ভেসেছে বেহেশ্তী জলে কাব্যগ্রন্থটি মূলত প্রেমে আকর্ষিত-অনুতপ্ত এবং বিরহে জাগরিত-জর্জরিত কবির অন্তর্বয়ান! কবির উপলব্ধিতে এ বিশ্বের প্রকৃতি ও জীবসত্তার অনুভূতির ভেতর সঞ্চারিত রয়েছে যে অপার্থিব বোধ তা জলসিক্ত এক প্রেমের অনুভূতিমাত্র, কিন্তু বাস্তব জীবনের প্রতিঘাতে সে বোধ বিরহে রূপান্তরিত হয়। এ যেন স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গের নিত্যখেলা। তা দেখেই হয়তো কবি বলে ওঠেন, “অলীক বাস্তবে স্বপ্ন তবু মিছে নয় তাই বলে স্বপ্ন নিয়ে বাঁচি”! এই কাব্যগ্রন্থটিকে কবির সেই বেঁচে থাকার দিনলিপি বলা চলে। মানব মন ও মস্তিষ্কে জাগ্রত এক ধরা-অধরার চিরায়ত প্রেমবোধ একই কাব্যের বর্ণনা ও চিত্রমালায় সমানভাবে প্রকাশিত।
জমজমাট গায়েবানার হাজিরায়
জমজমাট গায়েবানার হাজিরায় বাংলা ভাষার ছান্দিক বুননে হাজির করেছে এমন একজন বিশ্ববিখ্যাত কবির সৃষ্টিশীল মহাকাব্যিক চেতনাকে যার নাম মাহমউদ দারউইশ! আমরণ নির্বাসনের যন্ত্রণায় দগ্ধ দেশহীন এই কবি আত্মরক্ষার সন্ধিরচনায় প্রবেশ করেছিলেন সীমারেখাহীন এমন এক কাব্যবিশ্বে যেখানে তাঁর উপলব্ধি বলেছিল—ভাষাই পারে কোনও বিলুপ্ত জাতিসত্তাকে তার অক্ষরে অক্ষরে মূর্তমান করে রাখতে, ভাষাই পারে প্রিয় স্বদেশ হতে বিচ্ছেদের দুঃখকে তাজা রাখতে। শুধু তাই নয়, তাঁর উপলব্ধি আরও বলেছিল—তাঁর পুরো জীবনকে কবিতায় প্রবেশ করালে তিনি পেয়ে যাবেন সেই দিব্যচোখ যে চোখের দৃষ্টিসীমা সাধারণ দৃষ্টিসীমাকে অতিক্রম করে যায়। ফ়িলাস্তীনে জন্ম নেওয়া দেশহীন কবি মাহমউদ দারউইশের এই অন্তর্লীন উপলব্ধিকে মূল আরবী থেকে সৃষ্টিশীল অনুবাদ পন্থায় বাঙলায় রূপান্তর করেছেন বাঙলাদেশের বহুভাষাবিদ ও কবি ইসফানদিয়র আরিওন। এই কাব্যগ্রন্থ পাঠের প্রক্রিয়ায় পাঠক ত্রিবিধ অভিজ্ঞতার স্বাদ পাবেন: ১. মাহমউদ দারউইশের কবিতার মূল আরবী থেকে বাঙলা অনুবাদ পাঠ; ২. ভূমিকাংশের বিস্তৃত বর্ণনায় মাহমউদ দারউইশের সাংস্কৃতিক মনস্তত্ত্বের, কাব্যকুশলতাসহ বিশ্বকবিতার ইতিহাসে তাঁর স্বকীয় অবস্থানের বয়ান এবং ৩. অপরাপর আরবী কবির সাথে দারউইশের কাব্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ। এই গ্রন্থ পাঠের ভেতর দিয়ে বাঙলাদেশের অনুবাদসাহিত্যের ইতিহাসকে পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ ঘটল। কেননা, এই অনুবাদ-বিশ্লেষণ পাঠের মাধ্যমে যে কোনও সাধারণ পাঠকের পক্ষেও উপলব্ধি করা সম্ভব হবে যে, বাঙলাদেশের অনুবাদক ইসফানদিয়র আরিওন আরবী ভাষায় অসাধারণ দক্ষতা ও পাণ্ডিত্য অর্জন করেছেন।
শেখ হাসিনা : যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয়
শেখ হাসিনা : যে রূপকথা শুধু রূপকথা নয় মূলত আরবী ভাষায় লেখা মিসরের প্রখ্যাত সাংবাদিক-লেখক মোহসেন আল-আরীশীর হ়াস়ীনাহ্ : হ়াক়াাইক়্ ওয়া আস়াাতী̥র্ (حسينة : حقائق وأساطير) গ্রন্থের বাঙলা অনুবাদ। এতে মূখ্যত শেখ মুজিবুর রহমান ও পরবর্তী কালে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার হাতে বাঙলাদেশের পবিত্র উত্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এই গ্রন্থের মাধ্যমে শুধু যে বাঙলাদেশ রাষ্ট্রের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলি জানা যাবে তা নয়, ইতিহাসের বিধি মোতাবেক এতে তাঁর বাবা যিনি বাঙলাদেশের জনগণের আত্মিক ও আইনসঙ্গত নেতা তাঁর শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের পথ-পরিক্রমার কথা এবং তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসকেও জানা যাবে।
এতে লিপিবদ্ধ হয়েছে শেখ হাসিনা ও তাঁর সংগ্রামী পথ-পরিক্রমা নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা। এই গ্রন্থের লেখক তাঁর বিশ্লেষণে স্পষ্টই উল্লেখ করেছেন যে, শেখ হাসিনার জীবন বিস্ময়কর ও বন্ধুর ঘটনাবলিতে পরিপূর্ণ। এসব ঘটনা হৃদয়বিদারক ও নিদারুণতাকে ছাপিয়ে মনের ওপর চিরস্থায়ী দাগ রেখে যায়। প্রাচীন মিসর ও গ্রীস়ের ঐতিহ্য এবং পুরাণ সম্পর্কিত বইগুলোতেই আমরা এই নিদারুণতা দেখতে পাই।
মাতৃভাষা ও জাতির আত্মপরিচয়কে রক্ষা করতে বাঙালি জাতি যা করেছে তা এককথায় ব্যতিক্রমী। তাদের এই আত্মোৎসর্গ আর দুঃখ-কষ্ট অচিন্তনীয়। মানবেতিহাসে ইতঃপূর্বে কোনো গ্রন্থ নেই যাতে এই গ্রন্থে বর্ণিত এমন আত্মত্যাগের কথা আছে।
সাম্প্রতিক বিশ্বের আরব অঞ্চলসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিচরণকারী লেখক-সাংবাদিকের চোখে বাঙলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান এবং তাঁর আত্মজ দেশরত্ন শেখ হাসিনার জীবনেতিহাসকে বিশ্লেষণের গুণে এই গ্রন্থটি হয়ে উঠেছে অনন্য। গ্রন্থটির ভেতর দিয়ে বাঙলাদেশের অগ্রগতির ইতিহাস রচনা ও গবেষণার পথ নতুনভাবে উন্মোচিত হবে বলে ধারণা করা যায়।
তন্দ্রাভিভূত বিমর্ষ মৌতাত
বাসা কেবলই বদল করতে হয়। চেনা ঠিকানায় মন হাঁপিয়ে ওঠে। পায়ে পায়ে তবুও কিছু মনকেমন আটকে থাকে। অভিমান থেকে দূরে যাকে ফিরিয়ে দিলাম, সেই দুর্জয় মানই কূল ভেঙে বন্যা নামায়, ভেসে যায় অভিমানীর ভিটে। জীবনের দিকে মুখ ফিরিয়ে, ফিরে দেখে মনে হয়—‘তুমি ভুলে গেছ যাকে সে কি মনে রাখে আর। / শুক্লপক্ষ, কৃষ্ণপক্ষ অন্তরের দাবীদার। / …ভূমিকন্যা, তুমি রূপে বহুজন-প্রশংসিত। / তবু নজ়রানা নয় এই প্রাণ ভূলুণ্ঠিত।’ ব্যক্ত যা তাই কি কেবল হৃদয় ছোঁয়? মন কি শব্দহীন নৈঃশব্দ্যকে পড়তে পারে না? নাকি চুপকথার আবেদন আরও, আরও সুদূরপ্রসারী? ভাবতে ভাবতে এ কোন কিনারে এসে দাঁড়াই আমরা? কবি বলেন—‘আমি জানি নে কার ভালোবাসা নিতে হয়? / যে প্রেমের দুয়ারে টোকা দিয়ে ফিরে গেছে তার / না যে ব্যক্ত ভালোবাসার স্বার্থপর পূজারি, তার…। উত্তর মেলে না। জীবনের লেফাফাবন্দী চিঠি ডাকঘরে ফেরে ভুল ঠিকানা ঘুরে। শুধু রাতের অন্ধকারে কিছু হৃদয় তাদের হাতে নিয়ে ভাবে—সত্যিই কি ভুল ছিল, লেন-বাইলেনে?
আরেক অহনা
এত এত ধোঁয়ায় আর উলঙ্গ জোছনায় নগ্ন পায়ে হাতছানি দেয়। ভরদুপুরে চাঁদ দেখে ফিরে যাই বিষণ্ন জোছনায়।
তোমাকে একটা ময়ূরের পাখ দিয়ে চুল বেঁধে দেব, পৃথিবীর সব সৌন্দর্য দিয়ে সাজিয়ে নিয়ে যাব মেঘেদের দেশে—মেঘেদের বেশে।
তোমার চোখ দুটি নিলামে ওঠাও। দেখি—ভালোবাসে কে বেশী? শৈল্পিক দেহে উর্বরা জমী—শীরীন কৃষাণী দেখো, কোন কৃষক চায় বেশী।
মৃত্যু আজ তর্জনী উঁচিয়ে। শীতল হও অশ্রুস্পর্শে। এই চুপ, একখুনি আসবে তোমার অনাকাঙ্ক্ষিত অহনা হয়ে। পরপর দুটি মৃত্যু আমাকে আরেক অহনায় জন্ম দিয়েছে। শিউলির শুভ্রছায়ায়, রুদ্রাক্ষর ভালোবাসায়, অগোছালো-অবলা ভাষায় কত কিবা বলা হয়েছে। সেই নীল পদ্ম আর নীল টিপ কী করে ভুলি।
জঙ্গলে সর্পনৃত্য, গভীর অরণ্যে বেশ্যার মৃতদেহ, শকুনের আর্তচিৎকার আর কাক দিচ্ছে তা কোকিলের ডিমে—বোঝাবে কে সেটা?
আরেকটি মৃত্যুর পর আরেক অহনার প্রতীক্ষায়…